ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

জ্বর-স্বর্দির রোগি হলেই হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে

মাহাবুবুর রহমান. কক্সবাজার :: কক্সবাজার শহরের পার্শবর্তি খুরুশকুল ইউনিয়নের মনুপাড়ার জেলে আবছার উদ্দিন জানান, তার স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৩৮) কয়েকদিন ধরে স্বর্দি কাশি জ¦রে আক্রান্ত এটা স্বাধারনতা মৌসুমি রোগ হিসাবেই ধরে নিয়ে এলাকার গ্রাম ডাক্তারদের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে তবে তেমন পরিবর্তন না হওয়ায় নিয়ে এসেছেন জেলা সদর হাসপাতালে সেখানে জরুরী বিভাগে এসেই পড়ে বিপত্তিতে। প্রথমে দারোয়ান জানতে চায় কি সমস্যা জ¦র স্বর্দির কথা বলাতে হঠাৎ সবাই রোগির কাছ থেকে সরে দাড়িয়ে বলে এখানে কোন চিকিৎসা হবে না। এখানে কোন ডাক্তার রেই আপনি বাইরের কোন প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে আল ফুয়াদ,ডিজিটাল সহ কয়েকটি প্রাইভেট হাসপাতালেও ডাক্তার দেখাতে চাইলে পারিনি। পরে নিরোপায় হয়ে আবার ফিরে আসি গ্রামে এখন আল্লাহর রহমতে সেই গ্রাম ডাক্তারের দেওয়া ঔষধ খেয়েই ভাল লাগছে। তিনি দুঃখ করে বলেন এখন শীত কাল শেষ হয়ে গরম কাল শুরু হতে চলেছে তাই অনেকের মৌসুমি সমস্যা হতে পারে তাই বলে সবাইকে করোনা রোগি ভেবে নিয়ে এভাবে চিকিৎসা না করে ফিরিয়ে দেওয়াটা কি ডাক্তারদে উচিত হচ্ছে কিনা ? চকরিয়া উপজেলার ভেওয়া মানিকচর এলাকার কৃষক আবদুল আজিজ জানান, আমি সম্প্রতি মাঠে নতুন করে চাষ শুরু করেছি। আমার আগে থেকে হার্টের সমস্যা ছিল মাঝে মধ্যেই শ^াষ নিতে কষ্ট হয়। এ জন্য আগে থেকেই ইনহেলার সহ হার্টের ঔষধ ব্যবহার করি। হঠাৎ এখন আবার হার্টের সমস্যা দেখা যাওয়ায় খুব সমস্যা হচ্ছে। তাই চকরিয়া জমজম হাসপাতাল সহ স্থানীয় কয়েকটি প্রাইভেট হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে চেস্টা করেও কোন লাভ হয়নি। আগে আমাদের এলাকায় এমবিবিএস ডাক্তার ছিল পথে পথে এখন কোন এমবিবিএস ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছেনা। পরে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে গেলেও সেখানে শ্বাষ কষ্টের রোগি দেখে আমাকে কোন ডাক্তার দেখেনি। বিষয়টি আমি আমার চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। পরে বাড়িতে থাকা আগের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ খাচ্ছি। তিনি জানান আমাদের এলাকায় এখন অনেক শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষের ঠান্ডা জনিত রোগ দেখা যাচ্ছে তবে বর্তমানে করোনা ভাইরাস রোগ চলছে সেটা নিয়ে কারো মাঝে তেমন আতংক নেই কারন সবাই বুঝতে পারছে এটা মৌসুমি রোগ তাই স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছে।

পাঠকের মতামত: